মারিওপোলে আটকে থাকা বাকি যোদ্ধাদের রক্ষার চেষ্টায় ইউক্রেন

মারিওপোল শহরের আজভস্টালের ইস্পাত কারখানায় এখনো আটকে থাকা যোদ্ধাদের রক্ষায় সম্ভাব্য সব কিছু করছে ইউক্রেন। কারখানাটি মারিওপোলে ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সবশেষ স্থান। দুই মাসের বেশি সময় ধরে কারখানাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। 

দেশটির উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেছেন, এখনো কতজন সেখানে আটকে আছে সেই তথ্য কিয়েভের হাতে এসেছে। তবে এটিকে তিনি ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (১৬ মে) ২৬৪ জন যোদ্ধাদের রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন গুরুতর আহত। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মে) আরো সাতটি বাসে করে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

একটি কনভয় ডনবাস অঞ্চলে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা একটি গ্রামে পৌঁছানোর খবরও জানায় তারা।

রাশিয়ার সরকারি কৌসুঁলিরা বলেছেন, নিয়মিত তদন্তের অংশ হিসেবে তারা সব ইউক্রেনীয় সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। অপরদিকে ইউক্রেন চেয়েছিল মারিওপোলে আটকে পড়া শেষ যোদ্ধাদের তাদের হাতে আটক থাকা রাশিয়ান সেনাদের সাথে বিনিময় করতে।

শত শত ইউক্রেনীয় সেনা - যার মধ্যে আছে মেরিন, ন্যাশনাল গার্ড (এর মধ্যে আজভ রেজিমেন্টও আছে), বর্ডার গার্ড, পুলিশ ও অন্য বাহিনী ছাড়াও বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিক- মার্চের শুরু থেকেই আটকা পড়েছিলো। এর মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে মারিওপোল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

আর কতজন আটকে আছে এখনো তা নিয়ে গতকালের ব্রিফিংয়ে মালিয়ার বিস্তারিত তথ্য দেননি। তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযানের সুযোগ কতটা আছে তা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। তবে এটি একটি স্পর্শকাতর তথ্য।

যোদ্ধাদের ‘বীর’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের রক্ষার জন্য অভিযান চালানোই একমাত্র উপায়। তবে সামরিক অভিযান সেখানে অসম্ভব।

এদিকে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা ও মধ্যস্থতাকারী দল এবং জাতিসংঘ ও রেডক্রস উদ্ধার অভিযানে অন্তর্ভুক্ত আছে। জীবিত নায়কদের ইউক্রেনের দরকার।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা হয়তো শিগগিরই মুক্তি পাবে না, কারণ মধ্যস্থতাকারীদের সময় দরকার হবে।

ইউক্রেনের এমপি লেসিয়া ভাজিলেঙ্কো বলেছেন, জাতিসংঘের সহায়তায় সৈন্য বিনিময় নিয়ে রাশিয়ার সাথে যে চুক্তি হয়েছে সেটিই এখন প্রয়োজনীয়। অন্যথায় আটকে থাকা সাহসী যোদ্ধাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

অন্যদিকে রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা মঙ্গলবার আজভ রেজিমেন্টের সদস্যদের ‘নাৎসি ক্রিমিনাল’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন। আজভ রেজিমেন্ট ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো যা এখন ন্যাশনাল গার্ড ইউনিট।

এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেন- দু’পক্ষই শান্তি আলোচনা বন্ধের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। -বিবিসি

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //